বর্তমানে বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্প মালিকদের শুধুমাত্র পণ্য উৎপাদন করলেই চলবেনা, তা মানসম্পন্ন ও হতে হবে। মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের জন্য শ্রমিকদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতন করে তুলতে হবে। পশুর গা থেকে চামড়া ছাড়ানো (Flaying) থেকে শুরু করে, চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সরবরাহ সংক্রান্ত সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ বাস্তবায়নের মাধ্যমে চামড়ার গুণগত মান রক্ষা করা সম্ভব হবে। ট্যানারী মালিক তথা চামড়া শিল্পের সাথে জড়িত সকল উদ্যোক্তাদেরকে “কাঁচা চামড়ার গুণগত মান রক্ষায় লেস্-কাট নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক পদ্ধতিতে চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরিবহণ” সংক্রান্ত সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে।
বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের আধুনিকায়নে চামড়া ও চামড়া জাত পণ্যের নতুন বাজার সন্ধান এবং বিদেশী ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে মানসম্পন্ন চামড়া ও চামড়া জাত পণ্যে উৎপাদনের জন্য ৮ জুন, ২০২১ রোজ মঙ্গলবার সকাল ৯.৩০ ঘটিকায় আফরোজা গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টার, বড় তাকিয়া বাজার, মীরেরশরাই, চট্টগ্রামে “কাঁচা চামড়ার গুণগত মান রক্ষায় লেস্-কাট নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক পদ্ধতিতে চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরিবহণ” শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“কাঁচা চামড়ার গুণগত মান রক্ষায় লেস্-কাট নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক পদ্ধতিতে চামড়া সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরিবহণ” বিষয়ের উপর একটি সমৃদ্ধ উপস্থাপনা করেন জনাব সবুর আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইন্সটিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব লিটন চন্দ্র রায়, সহযোগী নির্বাহী কর্মকর্তা, লেদার সেক্টর বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এলএসবিপিসি), বাণিজ্য মন্ত্রাণালয় এবং বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশন (বিটিএ) এর কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বড় তাকিয়া বাজার, মীরেরশরাইর বিভিন্ন এলাকার মাংস দোকানের মালিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং স্থানীয় কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী, চামড়া গুদামের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।